শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৮ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি, কালের খবর :
চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন আলিশাহ নগর বন্দর টিলা এলাকায় শিশুমৃত্যু ধামাচাপার অপচেষ্টা। অরক্ষিত ছাদ নিরাপত্তাহীনতায় ভাড়াটিয়া বসবাসে বাড়ির মালিক পক্ষের অসচেতনতা, গাফলতি অবহেলায় মলিকপক্ষ
দায়ী। শিশুমৃত্যু ঘটনায় নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ জনমনে।
গত ২জুন শুক্রবার,দিবাগত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় নগরীর ঘটনাটি ঘটেছে আলিশাহ নগর বন্দর টিলা কাঁচাবাজারের পিছনে মাসুম ভিলার ৩য় তালার ছাদ থেকে আবু ছাইয়িম ( হাসনাত) (৩) পড়ে মৃত্যু হয়। পিতাঃ হারুনার রশিদ,মাতার নামঃ রিপা আক্তার, গ্রামঃ কাওরা কান্দি,পোঃ এলা, থানাঃ ধানিয়া বোন, জেলা হবিগঞ্জ।
অরক্ষিত ঝুঁকিপূর্ণ ছাদ থেকে পড়ে ৩বছরের শিশুর মৃত্যু হয়। অনাকাঙ্খিত আকস্মিক মৃত্যুর সংবাদে বাড়ির মালিক পক্ষের ভাড়াটিয়ার প্রতি নিরাপত্তাহীনতা, অরক্ষিত ঝুঁকিপূর্ণ ছাদ নানা কারণে অবাক হতভম্ব প্রশ্ন উঠে সাধারণ জনমনে। নতুন ভাড়াটিয়া,অপরিচিত দম্পতি,মিথ্যা ভুয়া তথ্যে পরিচয়সহ
নানা গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে।উক্ত ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা ও চাঞ্চল্যকর তথ্যের খবর পাওয়া যায় লোকমুখে। যা মূহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পরে প্রতিবেশী, এলাকাসহ আশপাশে মানুষের মাঝে।
পুলিশ কেইস আইনের জটিলতা থেকে বাচঁতে এবং ঘটনা ধামাচাপা দিতে হাসপাতাল থেকে মৃত শিশুকে নিয়ে পালিয়ে আসে। অপরিচিত দম্পতি পরিচয়ে চলতি মাসের ১তারিখ এ নতুন বাসা ভাড়া নেয়।একাধিক হাসপাতালে নিলেও বাঁচাতে পারে নি।পুলিশ প্রাথমিক পরিদর্শন পোস্টমোর্টেম না করেই লাশ হবিগঞ্জ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়।
এলাকবাসী ও প্রতক্ষদর্শীদের মতে এবং কারোকারো কাছে বিষয়টি স্পর্শরকাতার অস্বাভাবিক ও রহৎস্যজনক হিসেবে মনে করছেন।কাগজে পত্রে সঠিক পরিচয় না থাকা, সত্যতায় সন্দেহের জেরে দাফন কাঁপনের অপচেষ্টা ব্যার্থ হয়।পরবর্তীতে আইনী সহায়তায় ৯৯৯ কল করা হয়েছে ৩জুন, শনিবার পরেরদিন অনুমানিক সময় সকাল ৬/৭ টার সময়। ফোন দিলে পুলিশ সরেজমিনে না এসে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন না করে উল্টো একাধিকবার থানায় তলব করে।
ঘটনাস্থলের বাড়ির বিল্ডিং “মাসুম ভিলা” এর মালিক বলেন, আমি ভাড়াটিয়া নিয়ে পকেটে বসে থাকি না। অনেকেই ছাদে উঠেছে। তখন আরো লোকজন ছিল।৷ শিশু বাচ্চা দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে গেছে। এটা আমার কাছে জানার কি আছে। যা ঘটে গেছে, আমি কিছু জানিনা। ভাড়াটিয়া থানায় জবানবন্দি প্রদান করেছে। আমার কাছে কেন জানতে চান। থানায় জানেন।
ইপিজেড থানা (ওসি তদন্ত) অফিসার জামান বলেন, এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে। তখন কারেন্ট চলে গেছে গরমে ছাদে উঠে বাচ্চার মা মোবাইল দেখতেছিল। তখন বাচ্চা হাঁটতে হাঁটতে ছাদ থেকে পড়ে গেছে। এ-ব্যাপারে কেউ কোন এ পর্যন্ত কমপ্লেন করে নাই। তারা এখান ঐখান থেকে টাকা পয়সা তুলে আশপাশের সহায়তায় লাশ বাড়িতে নিয়ে চলে গেছে। বাড়ি হবিগঞ্জ। এটা আমাদের ইন্টেলিজেন্সে আছে। পরবর্তীতে কোন অভিযোগ বা কারো সমস্যা হলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।এবং পরিদর্শন প্রাথমিক সরেজমিনে দতন্ত অফিসার ছিলেন এস আই কামাল হোসেন।